নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার রাতে তিনি নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ পোস্ট দেন।
আমরা সবাই একজন করে অসাধারণ নারীর গর্ভেই জন্মেছি। আমার জীবনে আমার মা, বোন, স্ত্রী-কন্যা বড় অনুপ্রেরণার জায়গায় রয়েছে।
আপনিও একটু খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের সবার জীবনের গল্পই প্রায় একই রকম। আমরা কখনো ভাবতেও পারি না আমাদের প্রিয়জন অন্য কারো দ্বারা নির্যাতনের শিকার হোক।
আমরা কেউ না চাইলেও আমাদেরই সমাজের কিছু অসভ্য, অমানুষদের দ্বারা নারী-শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনার শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের জন্য আসলে কোনো শাস্তিই যথেষ্ট না।
ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে সর্বাত্মকভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের কঠিন শাস্তির পাশাপাশি সমাজে এমন অপরাধ বন্ধ করতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলারও কোনো বিকল্প নাই। তবে প্রথম শিক্ষাটা পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে।
আমরা যা কিছুই শিখি বা যতটুকু মূল্যবোধ অর্জন করি তা প্রথমে পরিবার থেকেই করি। তাই আমাদের সবারই দায়িত্ব রয়েছে আমাদের সন্তানকে ছোট বেলা থেকেই নারীর প্রতি সম্মান করতে শেখানো। পরিবার থেকে একটা শিশু যে শিক্ষা পাবে তা সে সারা জীবন ধারণ করবে।
এর পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চাটাও জরুরি। যে ছেলেটা খেলাধুলা করে, সংস্কৃতি চর্চা করে তার দ্বারা কোন নারী নির্যাতনের শিকার হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
সামাজিক অবক্ষয় রোধে, মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সমাজের সব ধরনের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মসজিদ-মন্দিরের ইমাম-পুরোহিত সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটুকু বলতে পারি, আমাদেরকে আরো দায়িত্বশীলতার সাথে প্রতিটি এলাকায় নজর দিতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দকে সাথে নিয়ে সামাজিক এই অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতেই হবে।
নারী-শিশু নির্যাতক ও ধর্ষকের কোন ধর্ম-গোত্র বা রাজনৈতিক পরিচয় নাই। তার একটাই পরিচয় সে অসভ্য, অমানুষ।