সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্ষণকারীর জন্য কোনো রাজনৈতিক দল যেন আশ্রয়ের ঠিকানা না হয়।
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আরো বলতে চাই, যে সকল অপরাধী বা ধর্ষক এ সকল ঘৃণিত কাজ করছে তাদের জন্য শাস্তিই শেষ কথা নয়। তারা যদি কোনো রাজনৈতিক ছায়ায় থাকে, তাহলে তাদেরকে চিরতরে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ধর্ষণকারীর জন্য কোনো রাজনৈতিক দল যেন আশ্রয়ের ঠিকানা না হয়। এ সকল সমাজবিরোধী অপরাধীর বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে আপসহীন থাকতে হবে।
দেশে গণতন্ত্র নেই বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বলতে চাই, প্রতিদিন গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ফ্রি-স্টাইলে তারা বিষোদগার করছে।
গণতন্ত্র না থাকলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা এভাবে অবিরাম মিথ্যাচার করতে পারতেন? তাদের দলের কাউকে কি এ জন্য জেলে যেতে হচ্ছে? গণতন্ত্র আছে বলেই তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারছে। মিথ্যাচারের পুরনো ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অন্ধ সমালোচনাই বিএনপির রোজনামচা।
করোনা সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি বন্যাদুর্গত ও সুপার সাইক্লোন আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে। কূটনীতিকরা প্রতিলকূতার স্রোতে মাড়িয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার ধারা প্রশংসার সঙ্গে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
অপর দিকে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।