দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ও আলোর মিছিল কর্মসূচি থেকে ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতি কর্মীরা।
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ও সহিংসতার কারণে সারা দেশে এক নৈরাজ্যকর ও ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আগামী সাতদিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সামনে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা করেন গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, নাট্যকার রতন সিদ্দিকী, অভিনয় শিল্পী ঝুনা চৌধুরী, মিজানুর রহমান, ড. মোহাম্মদ বারী, কামাল বায়েজিদ, নুনা আফৃরাজ, শামিমা শওকত লাভলি প্রমুখ।
পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ গিয়াস। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি আলোর মিছিল বের করে নাট্যকর্মীরা। মিছিলটি শিল্পকলা একাডেমির প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রতিবাদ সমাবেশস্থলে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে সংস্কৃতিকর্মীরা বলেন, আমাদের থাকার কথা নাটক ও গানের মঞ্চে। কিন্তু বাধ্য হয়ে আজ আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। ধর্ষকদের রাজনৈতিক প্রশ্রয়দাতাদের বলছি আপানারা ধর্ষকদের সকল ধরনের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেওয়া বন্ধ করুন।
না হলে ঘৃণ্য এ অপকর্ম চলতেই থাকবে। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই সমাজকে বদলাতে হবে। সংস্কৃতি ও শিল্পের শক্তি নিয়ে ধর্ষক ও দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতিকর্মীরা রুখে দাঁড়াবে।
সরকার ধর্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ধর্ষকরা গ্রেপ্তার হচ্ছে সেটা আমরা জানতে পারছি গণমাধ্যমের মাধ্যমে। কিন্তু আমরা চাই সেটা যেন শুধু গ্রেপ্তারে মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে।