ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক দেখতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইশ! কবে যে যাব। এ সড়কে (দেখতে) কবে যে যাব। আমার মনটা পড়ে থাকল।
এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাব। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাব। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাব।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে হাওরের বিস্ময় কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে। কারণ তিনি যদি উদ্যোগ না নিতেন আর আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করতেন, তাহলে হয়তো এই রাস্তাটা করা সম্ভব হতো কি না সন্দেহ। তারই আগ্রহে এবং উদ্যোগে এই সড়কটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের মানুষ বর্ষাকালে যখন পানি থাকে, তখন নৌকায় যাতায়াত করত; কিন্তু শুকনা মৌসুমে যাতায়াতের সুযোগ -সুবিধা তেমন ছিল না, পায়ে হাঁটা ছাড়া।
সে জন্য ওই এলাকায় একটা কথা প্রচলিতই ছিল- বর্ষায় নাও শুকনায় পাও। আজকে আর সেটা না, এখন আর দুই পায়ে হাঁটতে হবে না। এখন গাড়ি-ঘোড়া সবই চলবে, সেই ব্যবস্থাটা করা হয়েছে।
সারা দেশে একটা সড়কের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি; যাতে করে যোগাযোগব্যবস্থাটা… নৌপথগুলো সচল করা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। রেলপথ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে এবং আরো নতুন নতুন অঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ করে রেলে যোগাযোগের সুযোগটা বাড়াচ্ছি। নৌপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি, সড়কপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি।
অনুষ্ঠানের গণভবন প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
আর কিশোরগঞ্জের মিঠামইন প্রান্তে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ডিসি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৭৪.০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি নির্মাণ করেছে।