অতীতে ধর্ষণ আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল না। নতুন আইন করে ধর্ষণকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হবে। সেই সাথে এসব অপরাধের জন্য দ্রুত বিচার আইনে বিচার করে তাদের বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
গত দুই মাস যবৎ সমাজে ধর্ষণ, হত্যা অসহনীয় অবস্থায় বেড়েছে। এই সমস্ত সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নতুন আইন করে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে দেখা গেছে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আসামি ধরা পড়ত না। বর্তমানে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সব আসামিকেই ধরা হয়েছে।
সাথে সাথে সেই সমস্ত আসামিদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। যাতে আমরা দ্রুত এই সমস্ত ধর্ষণকারী, মাদককারীদের বিচার করে মানুষের মনে শান্তি দিতে পারি।
তিনি আরো বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র থাকবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে অর্থাৎ ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আবার পূজা উৎসবও সবার।
মুসলিমরা যেমন হিন্দুদের উৎসবে গিয়ে শুভেচ্ছা জানায় তেমনি হিন্দুরাও মুসলিমদের উৎসবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির কেউ কারো কাজে বাধা দেবে না।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ ও পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সিকদার মোশারফ হোসেন, কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অজিত কুমার সাহা, সাধন রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।