বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মমনসা ০৬ নং ওয়ার্ডস্থ জনৈক জামাল ও কামালের বাড়ির সামনে ৮ তারিখ আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে স্কুলছাত্রীটিকে সবুজ হাজীর সুপারি বাগানের উত্তর পাশের পুকুর পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে এ স্কুল ছাত্রীটিকে বোরহানউদ্দিন থানাধীন ভোলা-চরফ্যাশন সড়ক সংলগ্ন সরকারী আবাসন প্রকল্পের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন (বিপিএম) তাৎক্ষনিক সংগীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভীকটিমকে রাত পৌনে বারোটার দিকে উদ্ধার করেন। এবং ভিকটিম ঐ স্কুলছাত্রীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ধর্ষণ জনিত পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ই অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলার লালমোহন থানা এলাকার এক স্কুলছাত্রী (১৩)-কে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শফিক ঢালী(৩০) ও নাগর মাল (৩০) নামক দুই প্রতারক ধর্ষক।
পরবর্তীতে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের দিক নির্দেশনায় বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে রাতভর লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে পলাতক দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো: ১/.সফিকুল ইসলাম শফিক ঢালী(৩০) পিতা: লাল মিয়া ঢালী, সাং-কলমা ২নং ওয়ার্ড, ২/.নাগর মাল (৩০) পিতা: হাবু উল্লাহ মাল, সাং- চরলক্ষী ০৯ নং ওয়ার্ড, উভয় থানা: লালমোহন, জেলা: ভোলা।
গ্রেফতারকৃত দুই ধর্ষক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের নিকট স্কুল ছাত্রী কে অপহরণ ও গণধর্ষনের কথা স্বীকার করে।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে থানায় অপহরণ পূর্বক গণধর্ষনের এজাহার দিলে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ দুই ধর্ষকের বিরুদ্ধে ২০০০ সনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী -২০০৪) এর ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় মামলা রুজু করেন। যার নম্বর ০৬ তারিখ ০৯/১০/২০২০ ইং।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন বিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃত দুই ধর্ষককে আজ (১০ই (অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।