ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে ড্রাইভার মোহাম্মদ মবিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। এ সময় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এদিকে গত ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াদ অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলি করেন। গত ৫ আগস্ট করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় সাবরিনা ও আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা।
গত ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন। গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবরিনাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল।
বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে।
মামলায় সাবরিনা ও আরিফ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।