ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে শনিবার। এজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে গণপরিবহনে সীমিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন এবং পরের এক দিন নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
এছাড়া এ দুই আসনের উপ-নির্বাচনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। দুটি আসনেই গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত কিছু গণপরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্য।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ দুটি আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আসন দুটিতে নির্বাচনী পরিবেশ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোনো তথ্য পাইনি।
ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন রাজধানী শহরে হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফরিদপুরের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না আশা প্রকাশ করে সচিব বলেন, ওই দিন ফরিদপুর ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন ছিল, কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এটা একেবারেই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় শূন্য হয় ঢাকা-৫ আসন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী।
তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান।
এ আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন; যাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন ও নারী দুই লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে গত ২৭ জুলাই নওগাঁ-৬ আসন শূন্য হয়। তাঁর এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল), বিএনপির শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. খন্দকার ইন্তেখাব আলম।
সরেজমিন জানা যায়, ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে প্রচারের শেষ দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই এই উপনির্বাচনেও ভোট জালিয়াতি, দলীয় এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়ার ঘোর আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জনগণকে বলব, ভোট দিতে আসেন, ভোট ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।