সারাদেশে অব্যাহত গণধর্ষণ ও নির্যাতনকারীদের সর্বোচ্চ প্রতিরোধকল্পে ১০ দফা দাবি পেশ করেছে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ।
এ দাবি আদায়ে চার দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে তারা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সব দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা আজ মহামারী আকার ধারণ করেছে। সারাদেশে চলছে গণধর্ষণ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতনের মহোৎসব।
নারীর প্রতি সহিংসতা ও সকল ধরনের বৈষম্য দূর করতে তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করা হলো।
দাবিগুলো হচ্ছে- নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের সমন্বিত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে; নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও সকল ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে মাদকমুক্ত সমাজ চাই; নারী উন্নয়ন নীতিমালা’১০ এর কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে; নারীর মর্যাদা এবং অধিকার সংরক্ষণে কুরআন-হাদীসের শিক্ষাসমূহ জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; সকল ধরনের মাদকদ্রব্য ও এর অবাধ-প্রাপ্তি বন্ধ করতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা, ব্যাভিচার ও ধর্ষণ প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল টিভি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন; নারীর অশ্লীল উপস্থাপনা ও পণ্য হিসাবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে; অপরাধী যে দলেরই হোক সকলের জন্য আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ নিশ্চিত কর এবং দলমত নির্বিশেষে অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হোন।
চার দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-সোমবার রাজধানীতে আলোচনা সভা; বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন; বৃহস্পতিবার গোলটেবিল বৈঠক এবং ৩০ অক্টোবর রাজধানীতে গণমিছিল এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান নেতারা।
মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আল কাসেমীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম ঢাকা বিভগের সভাপতি মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের সমন্বয়ক ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আইম্মায়ে পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শাইখুল হাদীস মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, গনসেবা আন্দোলনের আমির মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, টেকেরহাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, শর্ষীনার ছোট পীর শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী প্রমুখ।