বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত এবং পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫।
অন্যদিকে মিয়ানমার ৭৮ এবং পাকিস্তান ৮৮ নম্বরে। অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নেপাল ৭৩ এবং শ্রীলঙ্কা ৬৪ নম্বরে।
এ তালিকায় ভারতের অবস্থান ৯৪। গত বছর ১১৭টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল ১০২।
১০৭টি দেশের ওপর ভিত্তি করে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স ২০২০। শুক্রবার তারা ২০২০ সালের ক্ষুধা সূচকের ওপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
তালিকায় ৯৪-এ থাকা ভারতের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ অপুষ্টিতে ভোগে। পাঁচ বছরের নিচে মারা যায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু।
ক্ষুধা মেটানোর নিরিখে তালিকার একেবারে উপরের দিকে রয়েছে চীন, বেলারুশ, ইউক্রেন, তুরস্ক, কিউবা এবং কুয়েতের মতো দেশগুলো।
তাদের অবস্থান এক থেকে পাঁচের মধ্যে। তবে ক্ষুধা মেটোনোর নিরিখে উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে আফ্রিকার তিনটি দেশ-চাঁদ, মাদাগাস্কার এবং তিমুর লেস্তে।
সূচক অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকায় ক্ষুধা এবং অপুষ্টির মাত্রা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ক্ষুধার সূচকের মাপকাঠিতে এরা যথাক্রমে ২৬.০ এবং ২৭.৮।
ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রবীণ গবেষক পূর্ণিমা মেনন বলেন, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের মতো কয়েকটি বড় রাজ্যে অপুষ্টির হার কমানো দরকার। তাহলেই গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারত উন্নতি করতে পারবে।
তার মতে, ভারতে প্রতি পাঁচ শিশুর একজন জন্মগ্রহণ করে উত্তরপ্রদেশে। যে রাজ্যে জনঘনত্ব বেশি, সেখানে যদি বেশি মানুষ অভুক্ত থাকে তাহলে সামগ্রিকভাবে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের অবস্থান নেমে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে চাইল্ড স্টান্টিং অর্থাৎ দেশটিতে রুগ্ন শিশুর হার ৩৭.৪ শতাংশ। পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুর উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের বিষয়টি (চাইল্ড ওয়েস্টিং) সবচেয়ে বেশি প্রকট দক্ষিণ এশিয়ায়।
ভারতে এই ধরনের ঘটনার হার ১৭.৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে যা ছিল ২০.৮ শতাংশ।
অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুর উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের মতো কয়েকটি মাপকাঠিতে বিভিন্ন দেশকে বিচার করে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক।