পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের ১১১ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আঘাতের ৯৭টি কালশিটে আঘাত ও ১৪টি ছিল রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।
কবর থেকে রায়হানের মৃতদেহ তোলার পর দ্বিতীয় ফরেনসিক রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে আসে।
আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত আঘাতের কারণে দেহের ভেতর রগ ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণে রায়হানের মৃত্যু হয়।
আঘাতে দেহের মাংস থেতলে যায়। রগ ফেটে গিয়ে আন্তঃদেহে রক্তক্ষরণ (ইন্টারনাল ব্লিডিং) হয়।
সন্ধ্যায় সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক শামসুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা অন্য দুজন হলেন ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক দেবেস পোদ্দার ও প্রভাষক আবদুল্লাহ আল হেলাল।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শামসুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, রায়হানের শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রচুর মারধর করা হয়েছে।
রবিবার ভোর রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।