মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে তা দেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হবে।
এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে প্রতিটি নির্বাচনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভোটাধিকার হরণ করছে।
একদিকে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে হামলা চালাচ্ছে।
অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশির নামে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব।
হামলা, নির্যাতন ও নিপীড়ন করে কোনো স্বৈরাচার সরকারই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান ফ্যাসিবাদী এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
শনিবার রাতে যশোর সদর উপজেলার নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, মিজানুর রহমান খান, গোলাম রেজা দুলু, আব্দুস সালাম আজাদ, হাজী আনিছুর রহমান মুকুল; সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চুসহ অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মীর বাসায় ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।
আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।