শারদীয় দুর্গোৎসবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।
ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপূজা উদযাপনে সরকারের নিদের্শনার আলোকে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, ট্রাস্টি তপন সেন, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, অ্যাডভোকেট অমিত কুমার সরকার, রেখা রাণী গুণ, রতন দত্ত, উত্তম শর্মা, ববিতা সরকার, অংকুরজিত সাহা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে উত্থাপিত সুপারিশে দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক পরে ও হাত সেনিটাইজ করে পূজা মণ্ডপে প্রবেশ, অতিরিক্ত তোরণ ও আলোকসজ্জা না করা, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলায় মণ্ডপে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা রাখা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা বা কোনো প্রকার জনসমাবেশ না করা, কোনো প্রকার আতসবাজি বা পটকা না ফোটানো, প্রতিমা বিসর্জনের দিন কোনো প্রকার শোভাযাত্রা না করা, প্রতিটি মণ্ডপ পরিচালনাকারীদের সার্বক্ষণিক নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং কোনো প্রকার গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় দ্রুত থানা অথবা ‘৯৯৯’ নম্বরে যোগাযোগ এবং কভিড-১৯ উপলক্ষে মন্ত্রপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত গাইডলাইন অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়।
মহামারি করোনার কারণে এই আনন্দধারায় এবার কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। তবে আশাকরি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ বাধা অতিক্রম করতে আমরা সক্ষম হবো।
কভিড-১৯ এর কারণে সরকার কিছু স্বাস্থ্যবিধি পালন করার নির্দেশনা দিয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ সময় পূজার অনুষ্ঠানাদি যথাযথভাবে শেষ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক, বিদুৎ বিভাগ, সকল সেবা দানকারী সংস্থাসহ সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের পরিপূর্ণ সহযোগিতা কামনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার থেকে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।