অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত।
তারও আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন শুনানি জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন শুনানির দিন পিছিয়ে ২০ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত।
সেপ্টেম্বর মামলাটিতে পলাতক দুই আসামি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, তা আদালতে দাখিল করা হয়।
এরপর আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।
এদিকে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
গত ২ জুলাই আদালত জামিন খারিজ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাঁর ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁরা দুজনই বর্তমানে কারাগারে।