গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত মিয়ানমারকে ভারতের সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম প্রদান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার জন্য গভীর উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ভারত মিয়ানমারকে সাবমেরিন এবং সামরিক সরঞ্জাম প্রদান করতে যাচ্ছে। মিয়ানমার প্রায়শই তার সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশকে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে।
এ বাস্তবতা বিবেচনায় ভারতের এ সিদ্ধান্ত কোনক্রমেই বাংলাদেশ ভারত ‘রক্তের বন্ধন’ যুক্ত সম্পর্কের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন মিয়ানমারকে সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম প্রদান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগজনক।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক এখন খুবই নাজুক পর্যায়ে। মিয়ানমার তার দেশের ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা ধর্ষণ এবং অস্ত্রের মুখে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এই মহা সংকটেও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি।
মিয়ানমার প্রায়শই বাংলাদেশের সীমান্তে সামরিক মহড়ার প্রদর্শন করে থাকে।
কখনো সামরিক হেলিকপ্টারগুলো বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করার খবর শোনা যায়। কিছু দিন আগেও মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে তার কয়েক হাজার সামরিক সৈন্য সমাবেশ করেছে।
মিয়ানমারের উস্কানিমূলক কার্যক্রম থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, মিয়ানমার ভারতের এই সাবমেরিনসহ সামরিক সরঞ্জাম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো মুহূর্তে ব্যবহার করার প্রয়াস পাবে।
সুতরাং বাংলাদেশের উচিত নতজানু নীতি পরিহার করে অবিলম্বে সরকারি পর্যায়ে ‘রাখি বন্ধন’ যুক্ত সম্পর্কের দেশ ভারতের কাছে এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা।