স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো দেশকে ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দেয়নি। যখনই কোনো দেশ স্বীকৃতি পাবে আমরা সবার আগে সেটি দেশে নিয়ে আসব।
ভ্যাকসিন আনতে সরকার অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা অব্যাহত রেখে চলেছে। ভ্যাকসিন অনুমোন পেলে আমাদের দেশে আনতে কোনো বিলম্ব হবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনির্মিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব জোন-২ এর উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক কমেছে।
তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য দেশের হাসপাতালে আলাদা করে ১৫-২০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না। আমরা ৭৮টি হাসপাতালে সেন্টার অক্সিজেন লাইন স্থাপন করার অনুমোদন দিয়েছি।
পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা স্থাপন করেছি। এখন হাসপাতালের আইসিইউগুলো ভালো চলছে। আমরা অল্প সময়ে অনেক কাজ করেছি।
মহামারি এই সময়ে দেশের স্বাস্থ্যখাত করোনাভাইরাস মোকাবিলার করার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে।
একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে নন-কভিড চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধি করা নিয়েও কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত মানের ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদ মালেক হৃদরোগের চিকিৎসা বিশ্বমানের করার জন্য ওসিটি মেশিন, রোটা বোটার মেশিন, কার্ডিয়াক এমআরআই মেশিন দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের সকল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ৫ হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। একইভাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে ৭০০ থেকে শিগগিরই ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। সবই করা হচ্ছে মানুষের চিকিৎসা সেবায় সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দীন বলেন, এ হাসপাতালে ৪১৪ শয্যা থাকলেও প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী ফ্লোরে থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে।
হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে এখান থেকে আরও অনেক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া যাবে। দেশের অনেক মানুষ উপকৃত হবে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ অন্যান্যরা।