রাজধানী ঢাকার মতো শহরগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রামে গ্রামে উন্নয়ন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমুর হোসেন আমু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই শহরের পাশাপাশি গ্রামও উন্নত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থান ও কোভিড-১৯: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে আশু করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এ মন্তব্য করেন আমু।
আমু বলেন, করোনার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা পালন করা হয়েছে। যার ফলে বিশ্বের তুলনায় করোনায় আমাদের ক্ষতি কম হয়েছে। তার নেতৃত্বেই মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
এ কারণেই এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) ব্যবহার বেড়েছে মানুষের মধ্যে। শহরে একটু বেশি, গ্রাম কমে। তবুও গ্রামে এখন শহরের মতো উন্নয়ন হচ্ছে। যারা আগে গ্রামে যেতেন না, নিজ জমিজমার খবর রাখতেন না, তারা এখন গ্রামে যাচ্ছেন।
করোনা মোকাবিলায় বাতাসকে নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান আমু।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি এগিয়ে আসায় কমিটির সদস্যদের সাধুবাদ জানান এ বর্ষীয়ান নেতা।
করোনা মোকাবিলায় বাতাসকে নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত রাখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরের হাই-রেইস ভবনগুলো বাতাস প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এসব বিষয়ে প্রকৌশলীদের কাজ করতে হবে।
বিশেষ এ ওয়েবিনারে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির গবেষক বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ও রবার্ট বাকাইনস্কি পিইঞ্জ।
এ সময় বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, করোনার এ সময়ে বাতাসকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সচেতন হতে হবে।
‘অনেকেই মনে করেন এসি করোনা সহায়ক কিন্তু এ ধারণা মোটেই ঠিক না। যথাযথ ধাপে এসি ইন্সটল করলে বাতাস জীবাণুমুক্ত ও নিরাপদ থাকবে। ইনডোর জায়গায় বাতাস নিরাপদ বা জীবাণুমুক্ত রাখতে তিনটি প্রধান বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
এগুলো হলো- ভেন্টিলেশন, এয়ার ফিল্টারেশন ও ডিস্ট্রিবিউশন। এসি বাইরের ও ভেতরের বাতাসকে মিশ্রণ করে। বাতাস নিরাপদ রাখতে এটাও একটা ভালো উপায়।
বিকাশ মণ্ডল তার উপস্থাপনায় আরো বলেন, কোনো স্থাপনার ভেতরের বাতাস যদি বাইরের বাতাস দিয়ে দ্রুত পরিবর্তন করা হয় তাহলে দ্রুত জীবাণু ধ্বংস করা সম্ভব। ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত জীবাণু বের করে ফেলা সম্ভব।
প্রতি ঘণ্টায় ১০ বার করে বাতাস পরিবর্তন করলে ৩১ মিনিটের মধ্যে বাতাস নিরাপদ করা সম্ভব। তবে এসব কিছুই ইন্টেগ্রেটেড অর্থ্যাৎ সমন্বিত উপায়ে করতে হবে।