চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো লাগামহীনভাবে ছুটে চলছে, তা সরকার নিয়ন্ত্রণ না করে দলীয় লোকজনের পকেট ভারী করার সুযোগ করে দিয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দেশব্যাপী বেপরোয়া যেনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণ এবং আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে’ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, সরকার শরিয়াহবিরোধী কোনো আইন করবে না বলে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে ক্ষমতায় এসে এখন নিজেই শরিয়াহবিরোধী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।
মূর্তি বা ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী সংষ্কৃতি। শরীয়া বিরোধী ও হারাম কাজ। এখন শেখ মুজিবের নামে বিভিন্ন জায়গায় মূর্তি স্থাপনের যে উদ্যাগ নেয়া হয়েছে তা কোনোভাবেই শরীয়াহ সমর্থন করে না।
কাজেই কৃত ওয়াদা পালনে মূর্তি স্থাপন না করে শেখ মুজিবের নামে আল্লাহর নিরানব্বই নাম খচিত স্মৃতি স্তম্ভ বা কোরআনের ক্যালিগ্রাফী স্থাপন করুন। এতে শেখ মুজিবের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি মূর্তিবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
চরমোনাই পীর বলেন, সরকার রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসার কারণে দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।
দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কোনো দরদ নেই। সারাদেশে সরকারের ব্যর্থতা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্রমেই মানুষ ফুঁসে উঠছে।
উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ছাত্রনেতা এম. হাছিবুল ইসলাম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মু. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।