প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল করে এবং আগের বিজ্ঞপ্তি বাদ দিয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) বিবাদী করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারী প্রার্থী মো. তারেক রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া।
একলাস উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী ৬০ শতাংশ আর ২০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকি ২০ শতাংশ সাধারণের জন্য। সে কারণে প্রার্থী হিসেবে মো. তারেক রহমান সংক্ষুব্ধ।’
একলাস উদ্দিন আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৬০ শতাংশ নারী কথা বলা হয়েছে। পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ। আমি মনে করি, সেখানে কোটা সিস্টেমটি রাখা হলে সেটি হবে বৈষম্যমূলক। কারণ যেখানে সাধারণ সকল শিক্ষার্থী মিলে ৮০ শতাংশ হওয়ার কথা সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না থাকার পরও বঞ্চিত হবেন অন্যান্যরা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমানের বরাত দিয়ে ওই আইনজীবী বলেন, এই নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা থাকার পর মাত্র ২০ শতাংশ ছেলেদের জন্য থাকছে। এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।