স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যারা ঘুষ-দুর্নীতি করে বিত্তশালী হন, নিজেদের ঐশ্বর্য গড়েন সামাজিকভাবে তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
আমাদের ছেলে-মেয়েরা যারা দেশের ভবিষ্যত কাণ্ডারী হবে, তারা একটি অপরাধপ্রবণ সমাজ ব্যবস্থায় গড়ে উঠুক এটি কারো কাম্য নয়, আমরা কেউ তা চাই না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লি. (মিল্ক ইউনিয়ন) এর ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যারা ঘুষ দুর্নীতি করে বিত্তশালী হন, নিজেদের ঐশ্বর্য গড়েন সামাজিকভাবে তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
আমাদের ছেলে-মেয়েরা যারা দেশের ভবিষ্যত কাণ্ডারী হবে, তারা একটি অপরাধপ্রবণ সমাজ ব্যবস্থায় গড়ে উঠুক এটি কারো কাম্য নয়, আমরা কেউ তা চাই না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যে সব কাজ করছি বা পরিকল্পনা তৈরি করছি, বহুমুখী চিন্তা-চেতনার অধিকারী বঙ্গবন্ধুই এসবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দর্শনকে বুকে ধারণ এবং লালন করে আমরা যদি আমাদের স্ব স্ব দায়িত্ব সততা এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করি তাহলে দেশ অবশ্যই সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
দেশে দুগ্ধ উৎপাদন বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। এটিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে যাতে করে উৎপাদন, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে এর সুফল সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়।
তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েরা কার সাথে ঘোরাফেরা বা মেলামেশা করছে এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। কারণ, সন্তানেরা যদি ভালো মানুষের সাথে ওঠাবসা করে তাহলে অবশ্যই ভালো, সৎ ও ন্যায়বান হবে। আর যদি খারাপ মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করে তাহলে অন্যায়ের পথে পা বাড়াবে, বিপথগামী হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, জাতির পিতা সুদক্ষ নেতৃত্বে দূরদর্শী চিন্তার মধ্য দিয়ে মিল্ক ভিটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মানুষের শরীর গঠন ও রোগ প্রতিরোধে দুধের কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে মিল্কভিটা।
মিল্কভিটাকে ধ্বংস করার জন্য যারা ষড়যন্তে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। কঠোর হস্তে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
মিল্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান বক্তব্য রাখেন। সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।