বিএনপির অভ্যন্তরে ঘরোয়া খেলা বন্ধ না হলে সরকার হটানোর আন্দোলনে সফলতা আসবে না। শহীদ জিয়াউর রহমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে দল গঠন করেছিলেন, তার সেই রেখে যাওয়া দল ৪২ বছর পরে মানসিকভাবে খণ্ড-বিখণ্ড, সাংগঠনিকভাবে খণ্ড-বিখণ্ড।
শনিবার ঢাকার নয়া পল্টনে নিজের অফিসে ঢাকা জেলা কৃষক দলের এক প্রতিনিধি সভায় তিনি একথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, দল আছে, কারও সাথে কারও মিল নাই। আমরা ওপেন মাঠে খেলতে পছন্দ করি না, আমি ঘরোয়া খেলতে পছন্দ করি।
ঘরোয়া খেলা মানে একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে লাগা, একজন আরেকজনকে খাটো করা, একজন আরেকজনকে ব্যর্থ করা। এ কারণেই গত ১২ বছরে বিএনপি আন্দোলনে সফল হতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমাদের কারও সাথে কারও যদি মিল না হয়, তাহলে কর্মফল আদায় করা যায় না। যদি যেতে তাহলে আমরা ১২ বছর রাস্তায় থাকি না।
১২ বছর লাগার কথা না। বাংলাদেশের সিংহভাগ লোক বিএনপিকে পছন্দ করে, যে দল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল, সেই দল পরনির্ভরশীল একটা সরকারকে কিছুই করতে পারতেছে না।
বরং তারা (ক্ষমতাসীন) ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় কথা বলে। এটা আপনাদের সহ্য্ করতে ভালো লাগে?
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরেরে মধ্যে সহযোহিতার মনোভাব বাড়িয়ে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করার আহ্বান জানান তিনি।