প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। সাবরিনার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে গত ২৩ জুন তেজগাঁও থানার মামলায় গত ১২ জুলাই গ্রেপ্তার দেখানো হয় ডা. সাবরিনাকে। এই মামলায় গত ২০ আগস্ট ঢাকার আদালতে সাবরিনাসহ অপরাপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ওইদিনই সাবরিনার আইনজীবীরা কিছু ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ওই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পরবর্তীতে জামিন আবেদন করেন তিনি।
এ আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। এই জামিন আদেশ খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনে জামিন চাওয়া হয়। আজ শুনানি শেষে তা উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল।
বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে। এরপর জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলায় করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় গত ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।