চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্পের খচর ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে দুটি নতুন ও দুটি প্রথম সংশোধিত।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/সচিবরা একনেক সভায় অংশ নেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ হিসেবে আসবে ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সভাশেষে অনুমোদিত প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভাঙন ঠেকাতে গিয়ে নদীর প্রবাহ যেন বাধার মুখে না পড়ে, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ড্রেজিংয়ে সতর্কতার সঙ্গে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
৪ প্রকল্প
১. যমুনা নদীর ডান তীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাউখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্প। নতুন এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রকল্প ব্যয়ের পুরো টাকা দেবে সরকার।
২. কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। নতুন এ প্রকল্পের পুরো টাকা আসবে সরকারি অর্থায়ন থেকে। বাস্তবায়ন করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
৩. পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নিচু দিয়ে উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প।
এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা দেবে সরকার।
৪. আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্প। এতে ১১৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। এই প্রথম সংশোধনী প্রকল্প বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন।
এটি বাস্তবায়নে সরকারি অর্থায়ন ৩৫৮ কোটি ৯৪ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৪ লাখ ও ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ নেওয়া হবে।