আপিল বিভাগের নির্দেশের প্রায় ছয় বছর পর অবশেষে দুর্নীতি মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের করা আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে দুদক।
আপিলটির শুনানির দিন ধার্য করতে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির।
অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলা পরিচালনার জন্য দুদক থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি।
সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য আদালতে আবেদন (মেনশন) করেছি। এখন কার্যতালিকায় আসলে শুনানি করা হবে।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল এক রায়ে ১৩ বছরের কারাদন্ড দেয় নিম্ন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে হাজী সেলিমের সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন।
এতদিনেও কোনো পক্ষই এ আপিলের ওপর শুনানির উদ্যোগ নেয়নি। সম্প্রতি নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপরই হাজী সেলিমের মামলার বিষয়ে দুদকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ অবস্থায় দুদক হাজী সেলিমের আপিলের ওপর শুনানির উদ্যোগ নিল।