চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. জুয়েল আইড্ড (৩২) নামে এক ভুক্তভোগী তার ‘বাইক-লক’ অ্যাপসের সহযোগিতায় দুর্ধর্ষ চোর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউপির খোকন হোসেনের ছেলে মো. আবিদ হোসেন প্রকাশ সাল্লে (২৩) ও একই উপজেলার চর সেকান্তর ইউপির জাকির হোসেনের ছেলে মো. নিশাদ প্রকাশ অভিক (২১)। এছাড়াও চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউপির ইন্দ্রপুর গ্রামের জুনায়েদ হোসেনের পুত্র মেহেরাজ হোসেন তুহিন (২৩) নামে আরো এক আসামি পলাতক রয়েছে।
আন্তঃজেলা চোর চক্রের এই সদস্যরা বহুদিন থেকে এই কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত বলে জানা যায়। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এরআগে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন মান্দারী-দিঘলী সড়কের মোসলেহ উদ্দিন মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটককৃত আবিদ প্রকাশ সাল্লে তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোনসহ সদর উপজেলার মান্দারী-দিঘলী সড়কের মোসলেহ উদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে একটি প্ল্যাটবাসায় ভাড়া থাকেন। সে নিশাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে এনে এখানে রাখতো এবং এখান থেকেই বিক্রি করতো। স্থানীয়দের ধারণা, এখানে কোনো এক গডফাদারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে তারা এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন জানান, ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামী তুহিনসহ চোর চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জুয়েল জানায়, গত মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ বাজারের হক এন্টারপ্রাইজের সামনে থেকে ব্যবসায়ী জুয়েলের সুজুকি জিক্সার ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরে তিনি বাইক-লক অ্যাপসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের লোকেশন শনাক্ত করেন। বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে ওই দুই চোরকে মোটরসাইকেলটিসহ আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নোয়াখালী জেলার মাইজদী ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।