শিশু রক্ষায় অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কিশোর আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস- এর সাথে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ককাসের উপদেষ্টা মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পিতামাতার সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি, বিশেষ করে বাবার ভূমিকা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
শিশুদের আইনি সহায়তা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, কিশোর আদালতের সংখ্যা আমাদের দেশে সীমিত। এটি বাড়ানো উচিত্ যাতে শিশুরা যখন প্রয়োজন দ্রুত আইনি সহায়তা পেতে পারে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ শিশু আইন ২০১৩ এ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব রেখেছে এবং আলোকপাত করেছে যে কোন অবস্থায় শিশুদের শারীরিক ও অবমাননাকর শাস্তি নিষিদ্ধকরণে আইনি নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব ও তাতে সংসদীয় ককাসের ভূমিকার ওপর।
সংশোধনী প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি সংসদ সদস্য মোঃ শামসুল হোক টুকু। জনসচেতনতার ওপর জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কর্মসূচির জন্য রাস্তায় অর্থসংগ্রহের কাজে সমাজের নানা স্তরের শিশুদের ব্যাবহার করা নিষিদ্ধ করা উচিত্।
শিশু আইন ২০১৩- এ সংশোধনী প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের অন্যতম সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ যেহেতু শিশু, শিশুদের যে কোন সমস্যাই জাতীয় সমস্যা বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন চাইল্ড প্রোটেকশন ও চাইল্ড রাইটস গভারন্যান্স সেক্টরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের সিনিয়র ম্যানেজার মজিব-উল-হাসান প্রমুখ।