পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের টাকার অভাব নেই। তবে এখন থেকে লক্ষ্যভিত্তিক অর্থ ব্যয়ের দিকে যাচ্ছে সরকার।
অর্থ ব্যয় কোথায় হচ্ছে সেটি দেখতে হবে। তাই এখন থেকে ব্যয়টা টার্গেট করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান টার্গেটে থাকবে পানি। এর সঙ্গে হাইজিন ও স্যানিটেশন। রাষ্ট্রের অর্থ বেশি ব্যয় হবে তাদের জন্য, যারা নিম্ন আয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক ন্যায্যতাভিত্তিক বাজে বরাদ্দ শীর্ষক এক ওয়েবিনার আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নত দেশে যেতে চাচ্ছি। উন্নত দেশের প্রধান পরিচয় হবে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ। আমরা সেই চেষ্টা চালাচ্ছি। অনেকটা সফলও হয়েছি। কিন্তু তার পরও আরো কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাজেটে ওয়াস সেক্টরে বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের অর্থ খরচের টার্গেট নিয়ে নানা ঝামেলা হয় অনেক সময়।
নানা ধরনের চাপ থাকে। এ জন্য এক রাতেই ওয়াস সেক্টরে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু সরকার বরাদ্দ বাড়াচ্ছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে।
ডিজেএফবির সদস্য সুশান্ত সিনহার সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। আলোচনায় অংশ নেন- ডরপের গবেষণা পরিচালক যোবায়ের হাসান, ডিজেএফবির সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ন কবীর, স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ব্রাঞ্চের যুগ্ম সচিব ইমদাদুল হক চৌধুরী, ইউনিসেফের ওয়াস স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ মনিরুল আলম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রিকিডসের গ্র্যান্ডস ম্যানেজার আবদুস ছালাম মিয়া, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক আলমগীর হোসেন এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশের রঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।