যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) তালিকাভুক্ত হয়নি বা যাঁরা তালিকাবহির্ভূত আছেন—তাঁদের নামের তালিকা দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ঠিক কী কারণে নাম তালিকাভুক্ত হয়নি, তার ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রত্যেক জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অক্টোবর-নভেম্বরের সম্মানী ভাতা ও জুলাই-সেপ্টেম্বরের জন্য সম্মানী ভাতা পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এমআইএস তালিকাভুক্ত করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার তুলনায় আগে ভাতা অনেক বেশি। এ পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই-সেপ্টেম্বর ভাতা দেওয়া হয়েছে অথচ এমআইএস ও তালিকাভুক্ত করা হয়নি, এমন সম্মানী ভাতাভোগীদের তথ্য আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এমএস ওয়ার্ড এবং পিডিএফ আকারে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ–সংক্রান্ত একটি ছকও করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ প্রথম আলোতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হঠাৎ ২১ হাজার কমেছে’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে এত দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে মাসিক ভাতা পাঠানো হতো। কিন্তু গত অক্টোবর ও চলতি নভেম্বর মাসের ভাতা পাঠাতে গিয়ে দেখা গেছে, সংখ্যাটি হঠাৎ ২১ হাজার কমে গেছে।
ভাতা পাওয়া সব বীর মুক্তিযোদ্ধার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্প্রতি সরকার ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) নামে একটি সফটওয়্যারে যুক্ত করেছে। তাতে সংখ্যার বিশাল এই হেরফের হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, এত দিন তাহলে কীভাবে ২১ হাজার জনকে ভাতা দেওয়া হয়েছে।