বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন ‘জিয়াউর রহমানের কিছু নেই। কিছু রেখে যাননি তিনি। বাংলাদেশের খালেদা জিয়ার চেয়ে গরিব আর কেউ নেই। নিজের একটা বাড়ি নাই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই ভাড়া পরিশোধের নোটিশ আসে। খালেদা জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তারপরও তিনি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না। খালেদা জিয়ার মতো একজন ব্যক্তির কীভাবে ৫০ হাজার টাকায় চলে? কীভাবে তার চিকিৎসা হয়?’ এসব কথা বলেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রাজধানীর মোঘলটুলী এলাকায় জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
গয়েশ্বর বলেন, ‘১৮ কোটি মানুষ ঘরে বসে থাকতে পারে নাই। আমাদের অনেক সিনিয়র নেতা করোনায় প্রাণ দিয়েছেন। এখনও করোনায় ভুগছেন অনেকে। আমিও যে কোনও সময় আক্রান্ত হতে পারি। নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় নামতে হয় শেখ হাসিনার জন্য। করোনার মৃত্যুর চেয়ে যদি রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে করতে মৃত্যু হয়, ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কোনও অবদান যদি থেকে থাকে আমার-আমাদের, তাহলে সেটা পরিপূর্ণ হবে। আজ মৃত্যুর ভয় করে ঘরে বসে থাকতে পারি না।
করোনার থেকেও মারাত্মক ভয়ানক আজকের সরকার। কারণ করোনার দল-মত জাতি বোঝো না। করোনা নিরপেক্ষ, দল-মত না বুঝে আক্রমণ করে। কিন্তু শেখ হাসিনার দল মত বোঝে, জাত বোঝে, বংশ বোঝে। যাকে চায় তাকে আক্রমণ করে। এই ভয়াবহ করোনার হাত থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।’
জিয়াউর রহমানের নাম মুছতে পারবেন না উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ের মানুষ জিয়াউর রহমান। আত্মার আত্মীয় জিয়াউর রহমান। তার নাম হৃদয়ে লেখা, কালিতে লেখা না। ইচ্ছে করলে মোছা যায় না। ইচ্ছে করলে ছেঁড়াও যায় না। মৌলভীবাজারের বিশাল একটি মাঠ আছে, মাঠের নাম এখনও গান্ধী মাঠ।