সোমিত জামানঃ জাতীয় স্মৃতি সৌধ, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মরণে জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের চিরন্তন প্রতীক। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৭৯ সালে মূল স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮২ সালে বিজয় দিবসের অল্প পূর্বে সমাপ্ত হয়। এর নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। এখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের দশটি গণকবর রয়েছে। বিদেশী রাষ্ট্রনায়কগণ সরকারীভাবে বাংলাদেশ সফরে আগমন করলে এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন – রাষ্ট্রাচারের অন্তর্ভুক্ত।
স্মৃতিসৌধে সাতটি স্তম্ভ কেন?
স্মৃতিসৌধ সাত জোড়া ত্রিভুজ নিয়ে গঠিত। জাতীয় স্মৃতিসৌধের সাত জোড়া দেয়াল স্বাধীনতা আন্দোলনর সাতটি ভিন্ন পর্যায় নির্দেশ করে। পর্যায়গুলো হলো :
১) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।
২) ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন।
৩) ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন।
৪) ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন।
৫) ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন।
৬) ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, এবং
৭) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
এই সাতটি আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে বিবেচনা করেই সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে।