মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন: সীতাকুন্ড পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের এয়াকুব নগরস্হ শেখ পাড়ার স্হায়ী বাসিন্দা অহিদা খাতুন(৮৫) স্বামী এয়ার মোহাম্মদ(১০০)। এ দম্পত্তির ৩ পূত্র সন্তান ও ৭ কন্যা সন্তান রয়েছে। জানা যায় অহিদা খাতুন গত প্রায় ত্রিশ বছরেরও বেশী সময় ধরে মা’নসিক ভারসাম্যহী’ন রোগী।
মায়ের নামের ১৮ শতক জায়গা তার সন্তান এমদাদুল ই’সলাম ‘হেবা’ দেখিয়ে এমদাদুল ইসলামের নামে ১২ শতক, দুবাই প্রবাসী বড় ছেলে সিরাজুল ইসলামের নামে ৩ শতক ( উল্লেখ্য যে, সিরাজুল ইসলামের ছবি একেবারেই জাল যা সিরাজুলের ছবি নয় বলে দাবী করছে তার পুরো পরিবার)।
মজার ব্যাপার হলো সিরাজুল এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে মুঠোফোনে জানাই তার স্ত্রী বাবা ভাইবোনদের। ছোট ছেলে নুরুন্নবী চট্টগ্রাম শহরে চাকুরীরতঃ। তার নামেও দেখানো হয় ৩ শতক। নুরুন্নবী জানায়, ৩ শতক জায়গা হেবায় সে পেয়েছে অথচ সে তা জানেও না। এদিকে মায়ের সম্পত্তি অহিদা খাতুনের গর্ভজাত ৭ কন্যাও হকদ্ধার অথচ তারা এক শতকও পায়নি এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জানেও না।
এমদাদুল ইসলামের পিতা এয়ার মোহাম্মদ, ছোট সন্তান নুরুন্নবী, ৭ বোনের মধ্যে ৩ বোন আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ সাংবাদিক মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনের সহিত সীতাকুন্ড বাজারের স্হানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এ সময় এয়ার মোহাম্মদ, সন্তান নুরুন্নবী, ৩ মেয়ে ও দু’মেয়ের জামাই আমাদের প্রতিবেদককে বিস্তারিত জালিয়াতী ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন।
আমাদের প্রতিবেদকের সহিত অপর ৪ মেয়ে মুঠোফোনে তাদের ক্ষো’ভের বিষয়টি অবগত করায়। উপস্হিত অভিযোগকারী এমদাদুল ইসলামের পিতা এয়ার মোহাম্মদ(১০০) বলেন, আমার কূসন্তান এমদাদুল ইস’লাম গত এক বছরে বেশ ক’বার আমার গাঁয়ে হাত তুলে জ’খম করে। তিনি জ’খমের কিছু নমুনাও দেখিয়েছেন। তিনি এবং তাঁর উপস্হিত পূত্র ও কন্যা সন্তানগণ বলেন, এমদাদ সম্পূর্নরূপে জাল কাগজ করে বড় ছেলে সিরাজুলের ছবি অন্য কারো ছবি লাগিয়ে ছোট ছেলের উদাম ছবি ডিজিটাল ফটোশপ করে ন’কল বসিয়ে দিয়ে ১৮ শতক জায়গা আ’ত্নসাৎ করে।
ইতিপূর্বে তার বিরু’দ্ধে সীতাকুন্ড মডেল থা’নায় অ’ভিযোগ এবং চট্টগ্রাম আ’দালতে মাম’লাও করা হয় – মাম’লা নং ৯৯/১৫। এয়ার মোহাম্মদ কূ’পত্র এমদাদুল ইসলামের লোমহ’র্ষক এমন কাহিনী বলেন যা শুনলে বিবেকসম্পন্ন মানুষ ধি’ক্কার করবে। এয়ার মোহাম্মদ বলেন, গত দু’তিন বছর ধরে আমাকে শা’রিরীকভাবে নি’র্যাতন করে আমার ৪৪ শতাংশ জায়গা জোর করে টিপ- সই নিয়ে তা বিক্রী করে তার সমুদয় অর্থ আ’ত্নসাৎ করে আমারই পাপিস্ঠ কূ’লাংগার সন্তান এমদাদুল ইসলাম। তাঁর এমন অ’ভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপস্হিত ছোট পূত্র নুরুন্নবী, তিন মেয়ে, দু’মেয়ের জামাই ও মুঠোফোনে চার কন্যাসন্তান।
পিতা এয়ার মোহাম্মদের সহিত একমত পোষন করে ঘটনার সত্যতা জানান এয়ার মোহাম্মদের কন্যা নুরুন্নাহার স্বামী গোলাম মাওলা, শামসুন্নাহার স্বামী মিজানুল হক, ছেনোয়ারা বেগম স্বামী আনোয়ার হোসেন, আয়েশা বিবি স্বামী মোঃ ইব্রাহিম, নূর বানু স্বামী আমিনুল ইসলাম, আমেনা বেগম স্বামী আব্দুল আজীজ, হাসিনা বেগম স্বামী নূর মোহাম্মদ ও ছোট পূত্র নুরুন্নবী। অভি’যোগকারী এমদাুদল ইসলামের বি’রুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্হাগ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট স্হানীয় প্র’শাসনের নিকট জোর দাবী রাখেন।
তাদের মতে এমন কূপত্রকে শা’স্তি দেয়া না হলে কিংবা আ’ইনের আওতায় না আনলে বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে এমন কূপত্র জম্ম নেবে যা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য হুমকীস্বরূপ বটে। এদিকে শাহজাহান পিতা নুরুল আলম ও শওকত মৃত ছিদ্দীক আহমেদ নামে দু’জন ক্রি’মিন্যা’ল এমদাদুল ইসলামের সকল অপকর্মের সহযোগী ও পরামর্শক বলে দাবী করছেন এয়ার মোহাম্মদ ও তার সন্তানগণ। এমদাুল ই’সলামের সহিত ওদেরকেও গ্রে’ফ’তার করে যথাযোগ্য শা’স্তির ব্যবস্হা নিশ্চিত করে সমাজকে বাসযোগ্য ও শান্তিময় করতে দাবী জানায় ভূক্তভোগী অসহায় পরিবার।।