বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে দেয়া লিখিত অ’ভিযোগ ঢালাওভাবে করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযো’গ নেই। গড়পড়তা অভি’যোগে ব্যবস্থা নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে অ’ভিযোগ নিয়ে সিটি করপোরেশনে আসেন বিএনপি কর্মী জুলহাস। ওই সময় উত্তরের এ কর্মকতা বলেন, বিএনপি নেতাদের অ’ভিযোগ গড়পড়তা, ইভিএমে ধানের শীষের প্রতীক নেই এমন অ’ভিযোগ অ’সত্য।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কোনো অ’প্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যা হয়েছে কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যেও বলে জানান তিনি।
এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম কফি খেতে খেতে বলেন, ‘অ’ভিযোগ দিয়েছেন দেখবো, আগেও তো দেখেছি।
ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ ভিন্ন কেন্দ্রের ৩২টি অ’ভিযোগ তাবিথ আউয়ালের পক্ষে মো. জুলহাস উদ্দিন নামের একজন প্রতিনিধি কমিশনে গেলেও তাকে কথা বলার সময় দেননি কর্মকর্তা বলে সাংবাদিকদের কাছে অ’ভিযোগ করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জুলহাস বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া, মা’রধরসহ বেশকিছু অ’ভিযোগ নিয়ে এসেছি। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। মো. জুলহাস উদ্দিন আরো জানান, কথা বলার সময় নেই বলে বিদায় করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, অ’ভিযোগ দিয়েছেন, রেখে দিলাম, দেখবো। এখন কথা শোনার সময় নেই। অ’ভিযোগ কি আগেই লিখে রেখেছিলেন নাকি? জবাবে জুলহাস বলেন, আগে কেন লিখে রাখবো। আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া, মা’রধর করছে নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা। অনেকের মাথা ফা’টিয়েছে। তারা হাস’পাতালে আছে। আজ ভোট, আপনি এখন ব্যবস্থা না নিলে এমনটা হতে থাকবে।
এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, অ’ভিযোগ দিয়েছেন দেখবো। আগেও তো দেখেছি।
পরে জুলহাস সাংবাদিকদের অ’ভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (রিটার্নিং কর্মকর্তা) আমার কথাই শুনলেন না। এখনও তিনি ব্যবস্থা না নিলে কখন নেবেন? তিনি ফোন করে খোঁজ-খবর নিতে পারেন। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেবেন। তিনি তো অ’ভিযোগ রেখেই দিলেন।
সকাল থেকেই ভোটের আমেজে উত্তাল নগরীর উত্তরাঞ্চল। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রগুলো সরব হতে থাকে ভোটারদের উপস্থিতিতে। সকাল আটটার কিছু পরে রাজধানীর গুলশানে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল। এ সময় নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ল’ড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ভোটের মাধ্যমে জয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাবিথ।