বোরহান মেহেদীঃ সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ অ’বৈধভাবে বাংলাদেশ অ’নুপ্রবেশকারী ভারতীয় এক নাগরিককে গাজীপুর কালীগঞ্জ থা’না পু’লিশের নিকট সোপ”র্দ করেছেন প্রাণ [আরএফএল] কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ । তার নাম প্রিয়লাল চন্দ্র বিশ্বাস [৩৮]। তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা জেলার পরবাড়ি থা’নার প্রকাশ নগর গ্রামে। সে ওই গ্রামের ললিত চন্দ্র বিশ্বাস ও উষারানী বিশ্বাসের ছেলে।
সাড়ে তিন বছর ধরে ভারতের ত্রিপুরার প্রিয় লাল বিশ্বাস পরিচয় গো’পন রেখে কালীগঞ্জ পৌর মুলগাঁও এলাকায় প্রাণ [আরএফএল] কোম্পানীর এমএএল প্রশাসনিক বিভাগে পরিচ্ছন্নকর্মী ক্লিনার হিসেবে কাজ করে আসছে। দীর্ঘ তদন্তের পর রোববার রাতে অ’বৈধভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করার অপ’রাধে তার বি’রুদ্ধে কালীগঞ্জ থা’নায় একটি মা’মলা দা’য়ের হয়। মা’মলার বা”দী হন প্রাণ কোম্পানীর কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। সোমবার দুপুরে কালীগঞ্জ থা’না পু’লিশ প্রিয়লালকে আ’দালতে পাঠালে বি’জ্ঞ আ’দালত তাকে জে’লহা”জতে প্রেরণ করেন।
কালীগঞ্জ থা’নার ও’সি একেএম মিজানুল হক ভারতীয় নাগরিক আট”কের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নরসিংদী জেলার বেলাব থানার চর কাসিমনগর গ্রামের বিচরণ বিশ্বাসের মেয়ে সুকন্যা রানী বিশ্বাসকে প্রিয়লাল বিশ্বাস ২০০৯ সালে বিয়ে করে। বিয়েটি হয় সুকন্যা রানীর মাসি জয়ন্তী রানীর বাড়ি ভারতের ত্রিপুরায়। ওই সালে সুকন্যা রানী অ’বৈধভাবে ভারতের ত্রিপুরা তার মাসির বাড়িতে বেড়াতে যান। মাসি জয়ন্তীর প্রতিবেশি ছিল প্রিয়লালের পরিবার-পরিজন। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে সুকন্যা আর প্রিয়লালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সুকন্যা তার স্বামী বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা জেলার পরবাড়ি থা’নার প্রকাশ নগর গ্রামে বসবাস করতে থাকেন। তাদের দা’ম্পত্য জীবনে ৮ বছর বয়সে পাপিয়া রানী নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
ওসি আরোও জানান, আর্থিক অ’ভাব অ’নটনের কারণে ২০১৬ সালে প্রিয়লাল তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে অ’বৈধভাবে কুমিল্লার চৌগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে প্রিয়লাল তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে তার ভায়রা ভাইয়ের বাড়িতে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়াচর থানার নাপিতের চর গ্রামে বসবাস করতে থাকেন। এর পর থেকে সে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে থাকে। ৬/৬/২০১৭ সালে কালীগঞ্জ পৌরসভার মুলগাঁও এলাকায় প্রাণ [আরএফএল] ইন্ডাট্রিয়াল পার্কে সে পরিচ্ছন্নকর্মী ক্লি’নার হিসাবে চাকরিতে যোগ দেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর সে প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি করতে থাকেন।
সে পরিবার নিয়ে মুলগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে প্রাণে চাকরি করে যাচ্ছিল। গত ২৬/১/২০২০ তারিখে প্রাণের প্রজেক্ট ম্যানেজার সারোয়ার হোসেনের একটি মোবাইল চু’রি হয়। চু’রির ঘটনার পর তাকে স’ন্দেহ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদে করে কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ। তখন তার আসল পরিচয় বের হয়ে আসে। সে তার ভায়রা ভাইয়ের ঠি’কানায় যেই সব কাগজপত্র করে চাকরি করে যাচ্ছে, সেই ঠিকানা তার আসল না। তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরায়। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রিয়লাল বিশ্বাসকে প্রাণ কোম্পানী কর্তৃপক্ষ তাকে কালীগঞ্জ থা’না পু’লিশের নিকট সো’পর্দ করেন।