ভাস্কর্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ওই নেতার নাম কবির হোসাইন। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গতকাল শনিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় কবির হোসাইন (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগ)-কে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল।
তবে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরেই তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত পহেলা ডিসেম্বর কবির হোসাইন ফেসবুক আইডিতে ভাস্কর্য নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে এক জায়গাতে তিনি উল্লেখ করেন, মামুনুল হক যদি কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে, তার কণ্ঠনালী কেটে দাও, যদি কুরআন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে, আল্লাহ এটাকে হারাম করে, তবে কোন বাপের বেটা এটাকে হালাল করার সাহস রাখে?
কুরআনের বিরোধিতা যেই করবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ১ সেকেন্ডও অপেক্ষা করবে না ঈমানদাররা! হোক সে মামুমুল হক, মুজিব, জিয়া! হোক সে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বামাতি বা জামাতি! ইসলামের প্রতিনিধিত্ব রহিমুদ্দ, সলিমুদ্দি, কলীমুদ্দিরা করে না, স্বয়ং আল্লাহর রাসূল করেন! ইসলাম শিখতে হলে কুরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, মনগড়া যুক্তি খাটবে না!
একটা কথা মাথায় রাখবেন, আল্লাহর কোন আইন যদি আপনি না পালন করতে পারেন, সেটা অন্য কথা! তবে যদি তার কোন আইনের বিরোধিতা করা তো দূরের কথা, অস্বীকারও যদি করেন, আর নিজেকে যতই ঈমানদার দাবি করেন না কেন, মনে রাখবেন, আপনি খাঁটি মুসলমান না, পাক্কা মুনাফিক! আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করাও খাঁটি মুসলমানের জন্য ফরজ