সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম যাচাই-বাছাইয়ের নামে সরকারি গ্যাজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে। সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম জাতীয় বীরদের নিয়ে এমন অসঙ্গত আচরণে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে এবং প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা এসব অপকর্মের হোতা কিনা তা অনুসন্ধানের জোর দাবি জানিয়েছে।
আজ রবিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) থেকে নতুন করে প্রায় ৪০ হাজার কিংবা তারও বেশি সরকারি গ্যাজেটভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাকে যার যার উপজেলায় উপস্থিত হয়ে যাচাই বাছাইয়ের সম্মুখিন হতে বলা হয়েছে। অথচ এই সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ বেশির ভাগই ভারতের তালিকাভূক্ত এবং বর্তমান সরকার স্বীকৃত মুক্তিবার্তার লাল বইয়ের অন্তর্ভূক্ত। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং সমালোচনার মুখে মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে ব্যাখ্যা দিয়েছে, যে সকল মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় ও মুক্তিবার্তার তালিকাতে আছে তাঁদের নতুন করে যাছাই বাছাই প্রয়োজন হবে না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশে এরই মধ্যে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধুদের স্মারক সম্মাননায় ব্যবহৃত স্বর্ণ নিয়েও দেশের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘাতকের নামও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় বহাল রাখার দায়িত্বহীনতা দেখানো হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ফোরাম মনে করে জাতীয় বীরদের তালিকা অবশ্যই চূড়ান্ত হতে হবে তবে যখন তখন যাচাই বাছাইয়ের নামে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানির সম্মুখিন করা হচ্ছে তা মোটেও বাঞ্ছণীয় নয়। এতে একদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ হেনস্থার শিকার হচ্ছেন এবং অন্যদিকে নানা স্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষির্কীতে এসে এমন পদক্ষেপ অতীব দুঃখজনক ও একান্ত অনভিপ্রেত।’
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছে- বলা হয় বিবৃতিতে।