বাংলাদেশ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরো শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে মোদি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
করোনা ভাইরাস মহামারির এইসময় ওষুধ, চিকিৎসা উপকরণ, এমনকি ভ্যাকসিন- সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সহযোগিতামূলক।
দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব এবং দ্বিপক্ষীয় আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমেই জোরদার হচ্ছে।
মুজিববর্ষে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে আসছেন মোদি। এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাণী অবিনশ্বর। আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সম্মানজনক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সব ভারতীয় নাগরিকের পক্ষ থেকে আমি শুভ কামনা জানাই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করাকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আত্মত্যাগকারী সবার প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বিপক্ষীয ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে।
বৈঠকের আগে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষি, পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতায় সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ ও ভারত।
আজ সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের মধ্যে এসব সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। পরে দুই নেতার মধ্যে ভার্চুয়াল দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।
এছাড়া, ৫৫ বছর পর আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আবারো নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে পশ্চিমঙ্গের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগও উদ্বোধন করা হয়।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই রেলপথ।