ইজতেমাকে সামনে রেখেই প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে শুরু হচ্ছে জোড় ইজতেমা।
অন্যান্য বছর এ ইজতেমা ৫ দিন ব্যাপী হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তা মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য অনুষ্ঠি হবে। সে হিসেবে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ ইজতেমা চলবে।
তাবলিগের মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, শুরা-ই-নেজামের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ ইজতেমায় (পরামর্শমূলক সভা) ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারী চার জেলার মোট ৪ হাজার তিন চিল্লার সাথীরা অংশ নেবেন।
তিনি জানান, প্রতিটি জেলায়ই পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুধু ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ জেলার তিন চিল্লার সাথীরা শুক্র ও শনিবার বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অংশগ্রহণ করবেন।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছরের ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম দফা ও ১৫, ১৬, ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে আগামী বছরের এ বড় আয়োজনে নাকি সীমিত পরিসরে হবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত বুধবার থেকেই টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে (মুন্নু কটন টে·টাইলস মিলসের পাশ) টিনসেডে এ বছর অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের জোড় ইজতেমায় ঢাকা জেলার ২ হাজার ৫০০, গাজীপুর জেলার ৭০০, টাঙ্গাইল জেলার ৪০০ ও মানিকগঞ্জ জেলার ৪০০ মুসল্লিসহ সর্বমোট ৪ হাজার তাবলিগের তিন চিল্লার সাথীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমায় পরবর্তী বিশ্ব ইজতেমার তারিখসহ জোড় ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। মহামারি করোনার কারণে এ বছর জোড় ইজতেমার নির্ধারিত সময় গত ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন চিল্লার সাথীদের ইজতেমা ময়দানে পরামর্শ সভা করার জন্য শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার জন্য সময় দেয়া হয়েছে।