পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের সব বিষয়ে ভারত অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। দুই দেশের সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একমত হয়েছেন।
সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে অঙ্গীকার করেছেন। সীমান্তে বিএসএফ মারণাস্ত্র ব্যবহার করবে না বলেও তিনি অঙ্গীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ড. মোমেন বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন ইস্যু তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া অভিন্ন ছয়টি নদীর সীমানা নিষ্পত্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
তিনি জানান, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্পর্ককে সোনালি অধ্যায় হিসেবে অবহিত করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানান, বৈঠকে ব্রিকস ব্যাংকে যোগদানের জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
আগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে অংশ নেন।
ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমইও) স্বাক্ষর হওয়ার কথা বলেন। ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী চুক্তিগুলোতে সই করেন।