সে সময় একটা কথা চালু ছিলো,
“What Bengal thinks today India thinks tomorrow. ‘
হয়তো এ সব কারণে তাদের জাতির জনক গান্ধীও বাঙালি নেতাকে সহ্য করতে পারতেন না। কী যে বৈপরিত্যমূলক অাচরণ। যে গান্ধী মন খারাপ হলে রবীন্দ্রনাথের, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না অাসে তবে একলা চলো রে শুনতেন, শান্তি নিকেতনে এসে সময় কাটাতেন সে তিনি কংগ্রেসের ত্রিপুরা অধিবেশনে বিজয়ী সুভাষকে মানতে নারাজ ছিলেন। এবং প্রকাশ্যে বিজয়ী বাঙালির বিরোধিতা করেন। যে কারণে সুভাষ কে কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দল গঠন করতে হয়েছিল। বদলে গেছিল ভারতের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির গতিপথ।
পরবর্তী কালে হিটলারের সাথে সাক্ষাৎ জাপানের সহযোগী হওয়া তাঁকে বিতর্কিত করে তোলে। পৃথিবী ও সভ্যতার কারণে এই পথ মানা যায় না। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে তিনিই ছিলেন শেষ সিংহ পুরুষ যাঁর গর্জনে কাবু হতো বৃটিশ।
বহুকাল আগে তিনি বলেছিলেন, ” তোমরা আমায় রক্ত দাও অমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। “
এর অনেক বছর পর আরেক বাঙালি যিনি তাঁর তরুণ বেলায় বন্দী নেতাজীকে দেখে মনোবল বাড়িয়ে এসেছিলেন সেই নেতা লাখো মানুষের সমুদ্রে বললেন,
“রক্ত যখন দিয়েছি তখন রক্ত আরো দেবো এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
তিনি পেরেছিলেন বাঙালিকে স্বাধীনতা দিয়ে যেতে।”
যিনি বাঙালি হয়ে ভারতবর্ষের এক ও অনন্য নেতা তিনি হয়ে রইলেন ত্যাগ আর অন্তর্ধানে এক রহস্য পুরুষ। একটি বিশেষ কারণে তাঁর জন্য গভীর মমতা অনুভব করি।
লেখক সাংবাদিক ও কলামিস্ট, সমিত জামান।