নির্বাচনে নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জালিয়াতি, প্রহসন ও ডিজিটাল কারচুপির ফল বাতিল করে নতুন করে সিটি নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন পীর সাহেব চরমোনাই।
কেন্দ্র দখল ও অন্যান্য অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগে চসিক নির্বাচন বর্জন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বুধবার বেলা তিনটার দিকে এই নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
চরমোনাই পীর বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের ভয়াবহ ভোট জালিয়াতি ও ডাকাতির আরো একটি মহড়া করলো চসিকের নির্বাচনে।
এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। এই চসিক নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন করার দাবি জানান তিনি।
ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়া, এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোট দিতে বাধা, ইভিএম ব্যবহার করে ডিজিটাল কারচুপি এবং আগের রাতে এজেন্ট না দিতে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়।
চরমোনাই পীর বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন। নির্বাচন নিয়ে এ দেশের সাধারণ জনগণের আর কোনো আগ্রহ অবশিষ্ট নেই।
নির্বাচনের নামে এ ধরণের প্রহসনের কোনো মানে হয় না। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলে জনগণের এত অর্থ ব্যয় হতো না।
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী আলহাজ জান্নাতুল ইসলামের: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হামলা, কেন্দ্রে ভোটার ও এজেন্টে প্রবেশ করতে না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম।
তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের কাছে নির্বাচন বর্জন ও পুনঃনির্বাচনের দাবিপত্র জমা দেন।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের এই ঘোষণা দেন তিনি।