প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, আমরা এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন ও এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।
কারণ তারা সংবিধান লঙ্ঘন করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা বেআইনি একটি সরকার হয়ে আছে। তাই পদত্যাগ করে একটি নতুন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নীলফামারী-৪ সৈয়দপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নীলফামারী জেলা শাখার আহ্বায়ক বিরোধীদলীয় সাবেক হুইপ শওকত চৌধুরীর বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের একটা অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার কোনো ব্যক্তিত্ব নেই, সংবিধান অনুসারে তার এই প্রতিষ্ঠানকে চালানোর কোনো ক্ষমতা নেই। আপনারা দেখেছেন গতকাল চট্টগ্রামে একেবারে রক্তাক্ত নির্বাচন হয়েছে।
দুই জন কিংবা তিনজন মারা গেছে। বিরোধী দল অর্থাৎ বিএনপির কোনো এজেন্টকে কেন্দ্রে থাকতে দেওয়া হয়নি। তাদের শারীরিক অত্যাচার করে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, একমাত্র দল বিএনপিই যারা অতীতে গণতন্ত্র নিয়ে এসেছে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
আগামী দিনগুলোতে বিএনপির নেতৃত্বে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও মানুষকে নিয়ে যে গণঐক্য তৈরি হবে, সেই গণঐক্যের উত্তাল জোয়ারে একটা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো আমরা।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গফুর সরকারসহ আরো অনেকে।