করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে আসছে না সরকার। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যবেক্ষণ করে মার্চ-এপ্রিল মাসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার উদ্বোধন করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে শ্রেণি পাঠ করানো হচ্ছে। তাবে আমরা ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখব।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মার্চ-এপ্রিলে আংশিকভাবে স্কুল খুলে দেয়া হবে।
এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় অনেকেই সরকারের সমালোচনা করছেন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পরীক্ষা নেওয়ার ফলে কোনো শিক্ষার্থী যদি সংক্রমিত হয়, তার দায় কী সমালোচনাকারীরা নেবেন? নিশ্চয়ই নেবেন না। তখন তারা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতেন।
তারা শুধু অহেতুক সমালোচনাই করতে পারেন, কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকর কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।
সরকার প্রধান বলেন, করোনা শুরু হওয়ার পর আমরা অপেক্ষা করছিলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে আমাদের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ কারণে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের অপেক্ষামান পরীক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিলেও সকলকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে আমরা পরীক্ষা আয়োজন করতে পারিনি। বিশ্বের অনেক দেশেও পরীক্ষা ছাড়াই পাস দেয়া হয়েছে।
তার আলোকে আমরাও এ পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হই। শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে এক বছর নষ্ট না করতে পরীক্ষা বাতিল করে পাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অটোপাস নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা ছাড়া পাস দেয়ার বিষয়ে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করছেন।
এতে করে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি না হতে আমরা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাই এ ফলাফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করবেন না।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এইচএসসি-সমমানের ফল প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭। পরীক্ষা না হওয়ায় পাসের হার শতভাগ।