ভ্যাকসিন নিয়ে নেগেটিভ আলোচনা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ফ্রন্ট লাইনের ব্যক্তিদের পর বয়স্কদের দেওয়া হবে টিকা।
শনিবার দুপুর ২টায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় এ অনুরোধ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী সারা দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস যেভাবে সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করা হয়েছে, ভ্যাকসিনও সফলতার সঙ্গে দিতে পারব।
যেকোনো কাজ করতে গেলে কতিপয় সমালোচক থাকে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা নিয়ে বিরূপ প্রচার-প্রচারণা আছে। প্রতিটি ভ্যাকসিনেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
একটু জ্বর হতে পারে, শরীর গরম বা মাথা ব্যথা হতে পারে। প্রতিটি ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, তাতে কী ওষুধ সেবন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে? সুস্থ জীবনের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার জন্য প্রত্যেককে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, অনেক রাষ্ট্র এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। আগামী দুই-তিন মাসে ভ্যাকসিন পাবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালোশিয়ার মতো দেশ এখনও ভ্যাকসিন পায়নি।
গণহারে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়েও সুনাম অর্জন করব। যে ভ্যাকসিন রয়েছে তাতে ৫ লাখ লোককে এখন দেওয়া যাবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী ৪২ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যারা ফরম পূরণ করতে পারবে তারা কেন্দ্র আসলে টিকা পাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় জেলায় বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পাদনে প্রথমে এমপি-মন্ত্রীসহ বিশেষ ব্যক্তিদের আগে নেয়াসহ নানা মত দেন তিনি।