কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদির পাশে মীম (১৫) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে পুলিশ অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আবুল খায়ের (৩০) নামের এক যুবককে ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রবিবার আসামি আবুল খায়েরকে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই কমল কৃষ্ণ সাহা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আবুল খায়ের মীমের সঙ্গে কথা আছে বলে গত শনিবার রাত আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে নিয়ে যান।
পরে তাকে ধর্ষণ এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। মীমের সঙ্গীরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে তেলশা মাজারের কাছে যায়।
সেখানে গলায় ওড়না পেঁচানো ও বিবস্ত্র অবস্থায় মীমকে পাওয়া যায়। কাছেই আবুল খায়েরকে পেয়ে স্থানীয় লোকজন মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমল কুমার সাহা বলেন, মীমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সময় গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
মীমের বান্ধবী নাসিমা বলে, মীমের বাবা রিকশাচালক। তাঁরা থাকেন কামরাঙ্গীর চর ঝাউচরে বাজারের পাশে। অনেক বছর ধরে তারা শহীদ মিনার এলাকায় একসঙ্গে ফুল বিক্রি করত।
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মীম বড় ছিল। গত শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত মীমসহ আমার বান্ধবীরা একসঙ্গে শহীদ মিনার এলাকায় ঘোরাঘুরি করি।
এরপর আমি বাসায় চলে গেলেও অন্য বান্ধবীরা শহীদ মিনার এলাকায় ছিল। সকালে মীমের মৃত্যুর খবর পাই।
মীমের মা জানান, মীম আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করত। অনেক দিন পর গত শনিবার সে বান্ধবীদের সঙ্গে বের হয়েছিল।