শ্রমিক মালিক দুজনে মিলে যদি কারখানা চালান তাহলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে। অনেকে বিদেশি চক্রের মাধ্যমে ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।
অনেক লোক ভাড়াটিয়া লোক রাখেন যাতে শ্রমিক মালিক বিরোধ বাজিয়ে দিয়ে আমাদের দেশের উৎপাদন ব্যাহত হয়। যাতে আমরা বিদেশে মালামাল দিতে না পেরে বৈদেশিক মুর্দ্রা অর্জন করতে না পারি।
শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ভাইয়েরা আপনারা আছেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবেন। হঠাৎ করে মালিকের কাছে চাইলেও তো দিতে পারবে না, সময় দিতে হবে। আপনারা যদি নিয়ম মোতাবেক দাবি করেন তাহলে অবশ্যই চাহিদা মিটাবেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের আব্দুল্লাহ মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, শ্রমিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ রাখি মিল যদি চালু না থাকে তাহলে দেশেল ক্ষতি হবে। আমরা রপ্তানি আয় থেকে বঞ্চিত হব।
শ্রমিকদের বুঝতে হবে, মিল চালু থাকলে আপনাদের রুজি রোজগারের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী বাসা বাড়ির মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, শ্রমিকের বেতন বাড়লেও বাসার ভাড়া বাড়াবেন না।
কারণ একজন শ্রমিক অনেক কষ্টে কম বেতনে কাজ করেন। যখন খুশি ইচ্ছামত যা তাই করতে পারেন না। আপনার ভাড়াটিয়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
সভাপতিত্ব করেন স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল কালাম আজাদ। এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তুষার, জাতীয় শ্রমিকলীগ গাজীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন, জাতীয় শ্রমিকলীগ কালিয়াকৈর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রফিক দেওয়ান প্রমুখ।