সবাইকে নির্ভয়ে করোনার টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র তাপস ।
সকালে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যত শিগগির সম্ভব, সবাই নির্ভয়ে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিবন্ধিত হবেন এবং এই টিকা গ্রহণ করবেন। এর মাধ্যমেই করোনা থেকে আমরা মুক্তি লাভ করব, করোনাকে জয় করব।
করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে তাপস বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা, তাঁর সুদুরপ্রসারী চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আমরা এই মহামারিকে অতিক্রম করতে যাচ্ছি।
সারা বিশ্বে যখন টিকা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা-হতাশা, তখন প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আমরা টিকা পেয়েছি’ উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আজ সারা দেশে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯টি হাসপাতাল ও চিকিৎসালয়ে কভিড-১৯ এর টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আজ ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে টিকা গ্রহণের জন্য ৫৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ডিএসসিসি মেয়র আরো বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে টিকা প্রদান কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি টিকা প্রদান শুরু করা হয়েছে। এই কয়দিন সেটা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা। সকল কিছু নির্ণয় করে বৈজ্ঞানিক মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।
সুষ্ঠুভাবে এই টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের সবাইকে করোনা মুক্ত রাখতে পারব, ইনশাআল্লাহ। শুধু টিকাদানের মাধ্যমেই আমরা করোনাকে জয় করতে পারি।
ছোটবেলায় আমরা সবাই হাম- চিকেন পক্সের টিকা নিয়েছি, তাই টিকা নিয়ে অহেতুক ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তাপস বলেন, আমরা ইনশাআল্লাহ সবাই এই টিকা নিয়ে করোনাকে জয় করব।
অনুষ্ঠান শেষে শাহ আলম নামে নিবন্ধিত এক ব্যক্তি টিকা নেন। প্রথম দিনে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে টিকা গ্রহণের জন্য ৫৬ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন।
ডিএসসিসি এলাকায় সচিবালয় ক্লিনিক, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মজীবী হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতাল, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল, আজিমপুর মা ও শিশু হাসপাতাল, কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, নয়াবাজারে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, পিলখানার বিজিবি হাসপাতাল ও লালবাগস্থ ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল এবং ডিএসসিসি পরিচালিত বংশালের কসাইটুলী নগর মাতৃসদন, হাজারীবাগ নগর মাতৃসদন, ধলপুর নগর মাতৃসদন, উত্তর মুগদা মাতৃসদন ও খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া মাতৃসদনে কভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।