রবিবার রাজধানীতে ছাত্রদলের সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। বিএনপি-ছাত্রদল মারমুখী আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ। তবে বিএনপি-ছাত্রদলের কর্মীদেরও দাবি, পুলিশ কোনো ইস্যু ছাড়াই নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হচ্ছে এবং টিয়ারশেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করছে।
এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ ছাত্রদলের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশ ও সাংবাদিকরাও। ফেসবুকে অনেকে ছবিটি শেয়ার দিয়ে নানা মন্তব্য করছেন। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রদলের এক কর্মী (তার নাম জানা যায়নি) বিশাল এক বাঁশ নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ তো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যেকোনো জায়গায় দায়িত্ব পালন করবে; এটাই স্বাভাবিক। তবে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কেন পুলিশকে মারতে যাবে। এটা অন্যায়, এটা আইন পরিপন্থী।
একাই তিনি বিশাল বাঁশটি নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করছেন দেখা যায় এবং আশে পাশে ছবিতে কাউকে দেখা যায়নি।
এই ছবি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর লিখেছেন, ‘যৌবনের ধর্ম অন্যায়ের সাথে আপস না করা, যৌবনের ধর্ম অন্যায়কে রুখে দাঁড়ানো। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে পেটোয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ডিএমপির ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যেভাবে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে তাতে এটা উপলব্ধি করতে পারছি যে, ওরা পরিকল্পিতভাবেই এটি করেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে এত বাঁশের লাঠি কোথা থেকে এলো? এত ইটপাটকেল কোথা থেকে এলো?’ এছাড়াও সাম্প্রতিকের ফটো সাংবাদিকের ছবিতে ধরা পড়ে অন্য কিছু ছবি, যেখানে অন্যান্য নেতাকর্মীদের ও বাঁশ হাতে পুলিশের উপর আক্রমণ করতে দেখা যায়।
সংঘর্ষের পর ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাম্প্রতিককে বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বার বার বলা হচ্ছিল যে, রাস্তা ছেড়ে দিয়ে অনুষ্ঠান করতে। কিন্তু তারা তা না শুনে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে।
এত ইটপাটকেল কোথা থেকে এলো? তার মানে তারা আগে থেকেই এই ইটপাটকেল মজুত করে রেখেছিল। আবার দেখবেন বড় বড় বাঁশ নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে। বাঁশ দিয়ে তারা পুলিশের বেশ কয়েকজনকে আঘাতও করেছে। পুলিশ এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।’
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিয়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলে ওই সংঘর্ষ হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার উদ্যোগের প্রতিবাদে প্রেসক্লাব এলাকায় ছাত্রদলের এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।