স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে।
ভ্যাকসিন প্রদানে বিশ্বের বহু দেশ এখনও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যখাত এই ভ্যাকসিন প্রদানে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আগামীতেও ভ্যাকসিন প্রদানে দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী অক্ষুণ্ণ থাকবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, গত ১ মাস দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রদানে বাংলাদেশের প্রশংসা কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং ইতোমধ্যেই ৩৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই দেশের ১ হাজার ৭টি ভ্যাকসিন বুথে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। আগামী জুলাই পর্যন্ত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্স এর ১ কোটি ৯ লাখ ভ্যাকসিনসহ মোট ৪ কোটি ভ্যাকসিন দেশের মানুষের শরীরে প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিন প্রদানে ভবিষ্যতে যাতে কোনো রকম সমন্বয়হীনতা দেখা না দেয় সেজন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে ভ্যাকসিন আপডেট সভা করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী ধাপে দেশের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশসহ দেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের, বিভিন্ন বন্দরে কর্মরত ব্যক্তিদের, দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিদেরকেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
আগামীতে আরো ভ্যাকসিন ক্রয় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থাসমূহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানান তিনি। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন হাতে চলে এলে ভ্যাকসিন প্রদানে ৪০ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।