দলাদলি করেছি, বিভক্ত হয়েছি, দেশটাকে গড়তে পারিনি’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব একটা কথা বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি।
আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলব, আজকে যে দেশ এত দূর এগিয়ে গেছে, এটা অনুধাবন করতে পারলেন না। আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ, ঢাকা কলেজে পড়াতেন। আপনি একজন মার্জিত মানুষও বটে। যদিও বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে অহরহ মিথ্যা কথা বলেন।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ টি এম শামসুজ্জামানের শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ এত এগিয়ে গেল, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হলো, জাতিসংঘ সে সার্টিফিকেট দিয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্ধৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হলো, সাতশ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২০০৮ সালের, এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত হলো, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমাদের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। এবং রিজার্ভ ৪৪ মিলিয়ন ডলার। যেটি পাকিস্তানের তিন গুণ। এই তথ্যগুলো আপনার কাছে নেই। আমি খুব অবাক হচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না করত, বাংলাদেশ যে আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তার চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারত। যদি এ নেতিবাচক রাজনীতি না থাকত।
জঙ্গি আশ্রয়ী, স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়ার রাজনীতি যদি না হতো, দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, আপনারা দলাদলি করেছেন। শুধু দলাদলি করেছেন তা নয়, প্রচণ্ডভাবে নেতিবাচক রাজনীতিও করেছেন। আমাদের দেশে নেতিবাচক রাজনীতি, উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রে অন্তরায়।
সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরো বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, নাট্য চলচ্চিত্র অঙ্গের শিল্পীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।