২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রেস ক্লাবে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
মঙ্গলবার ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরিস্থিতি জাতীয় এ প্রতিষ্ঠান এবং এর সদস্যদের চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছিল বলে কমিটি গভীর উদ্বেগ জানায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সেদিন ক্লাবের একটি হলরুমে আগে থেকেই জিয়া পরিষদের একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিএনপি সমর্থক বিপুলসংখ্যক কর্মী ক্লাব প্রাঙ্গণে অবস্থান করছিলেন।
ক্লাবের সামনের রাস্তায় ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষ শুরুর পর তারা রাস্তাসংলগ্ন মেইন গেটের তালা ভেঙে ছাত্রদলকর্মীদের ভেতরে ঢুকতে সহায়তা করেন। এরপর একযোগে সেখান থেকে বাইরে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করে।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ ক্লাব প্রাঙ্গণে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে, এমনকি ভেতরে ঢুকে লাঠিচার্জ করে। এ পরিস্থিতিতে ক্লাবের ভেতরে অবস্থানরত সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েন।
সংঘর্ষ যেন ক্লাব ভবনের ভেতরে ছড়িয়ে না পরে সে জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের থামাতে গিয়ে ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন কর্মকর্তাসহ তিনজন সদস্য আহত হন।
ক্লাবে কোনো অনুষ্ঠান করার শর্ত অনুযায়ী যেখানে ক্লাব প্রাঙ্গণে স্লোগান দেওয়াও নিষেধ সেখানে ভেতর থেকে বাইরে ইটপাটকেল ছোড়া, গেট ভাঙা ইত্যাদি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাবের ভেতরে পুলিশের প্রবেশ, টিয়ার শেল ছোড়া, লাঠিচার্জও দুঃখজনক, বরং যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করবে বলে আশা করা হয়।
পুরো ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে এমন আর না ঘটে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ এখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। তবে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে বলে জানান তিনি।